বুকে ব্যথা একটি সংক্রমক ব্যাধি। তবে সবসময়েই এই ব্যাধি সংক্রমক নয়। শুধুমাত্র সিবিআইয়ের দপ্তর থেকে সমন আসলেই এই ব্যাধির সংক্রমণের শিকার হতে হয়। সে বড়ো কষ্টের।
বুকে ব্যথা নিয়ে সরকারী ডাক্তারদের শরণাপন্ন হতে হয়। সরকারী চাকরীর শর্ত সাপেক্ষে ডাক্তারা সিবিআইয়ের তলব করা রুগীদের বুক পরীক্ষা করে রায় দেন। রুগীকে তৎক্ষণাৎ উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে হবে। বেচারা রুগীর তখন আর করারই বা কি থাকে? কথায় বলে আপনি বাঁচলে বাপের নাম। আর এ তো সিবিআইয়ের সমন। কেন্দ্র সরকারের অঙ্গুলি হেলনে দিল্লীর শাসকদলের হাতের পুতুল। আগে তো প্রাণটা বাঁচুক। তারপর না হয় গরু পাচারের তদন্ত! সারদা কেলেঙ্কারীর তদন্ত। নারদা ঘুষকাণ্ডের তদন্ত। রোজভ্যালীর কাটমানির তদন্ত! একজন তো শেষমেশ পরপারেই যাত্রা করে ফেললেন। কে এখন তাঁকে বিচারের কাঠগরায় দাঁড় করায়? ফলে সরকারী ডাক্তার। শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী। এবং উডবার্ন ওয়ার্ড। একসূত্রে সিনক্রোনাইজড। শুধু সিবিআইয়ের দপ্তর থেকে তলব পাওয়ার অপেক্ষা মাত্র। তারপরেই খেলা শুরু। যিনি যত বড় হেভিওয়েট নেতা। তাঁর তত আগে বুকে ব্যথা শুরু হবে। সরকারের কোষাগার থেকে মাস মাহিনা নেওয়া বড়ো বড়ো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়ে যাবে। সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে সাধারণ রুগীর মৃত্যুতেও এত দ্রুত কোন বোর্ড গঠন করা হয় না। কিন্তু বুকে ব্যথা বলে কথা। সেই ব্যথা তো আর ফেলে রাখা যায় না। তাই ব্যথা ওঠার সাথে সাথেই বিশেষজ্ঞ ডক্তারদের নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়ে যাবে। নানান রকম পরীক্ষা আর নিরীক্ষা শেষ হতে না হতেই। সরকারী ডাক্তারদের রায়ে সিবিআইয়ের দপ্তর থেকে তলব পাওয়া রুগীর ঠিকানা সরাসরি উডবার্ন ওয়ার্ড।
বুকে ব্যথার এই খেলাটা পরিবর্তনের হাত ধরে অতিমারীর মতোই সংক্রমক হয়ে উঠেছে। তাই জনগণও আর এই বিষয়টি নিয়ে ভাবিত নয়।
সত্যিই জনগণের সময় নষ্ট করার মতো অত সময়ই বা কোথায়। ভোট আসলে লাইনে দাঁড়াও। নিজের ভোট নিজে দিতে পারলে তো কথাই নাই। যে দলে যত বেশি বুকে ব্যথার রুগী। সেই দলই জনগণের কাছে তত বেশি হট ফেবারিট দল। ফলে জনতাও জানে কোন বোতামে আঙুল টিপতে হবে। শাসকদলে যত বেশি বুকে ব্যথার রুগী থাকবে। শাসন ব্যবস্থা তত বেশি ঢিলেঢালা হতে থাকবে। রাজনীতির এই সাধারণ তত্ত্বটুকু জনতা টের পেয়ে গিয়েছে। আর সেখানেই জনতারও পোয়াবারোর সময়। দুর্নীতির সুযোগ ও সুবিধে। উপরতলা থেকে নীচের তলায় ক্রমাগতই চুঁইয়ে পড়তে থাকে। আর সাংবিধানিক গণতন্ত্রে সেই চুঁইয়ে পড়া সুযোগ ও সুবিধের ভাগ পাওয়া জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের ভিতরেই পড়ে। ফলে জনতা সেই দলকেই শাসন ক্ষমতায় নির্বাচিত করবে। যে দল সবচেয়ে বেশি পরিমাণে দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষমতা ধরে। এখন জনতা কি করে নিশ্চিত হবে। কোন দল কতটা বেশি পরিমাণে দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ? ঠিক সেইখানেই বুকে ব্যথার একটা বড়সড় ভুমিকা রয়ে যায়। বুকে ব্যথার পরিমাণই জনতাকে নিশ্চিত আশ্বাস দিতে পারে। কোন দল শাসন ক্ষমতায় থাকলে। দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণ সবচেয়ে বেশি হতে পারে। ফলে জনতাও জানে। সিবিআই ডাকলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা থেকে নেত্রী সকলেরই বুকে ব্যথা উঠবে। যত বেশি ব্যথা উঠবে। জনতাও তত বেশি খুশির চৌকাঠে ঘোরাফেরা করতে পারবে।
সিবিআইও জানে এই খেলার ণত্ব আর ষত্ব। সবকিছুই কেন্দ্র আর রাজ্যের দুই শাসকদলের হাডুডু খেলা। সেই খেলায় সিবিআইকে সময়ে অসময়ে নড়ে চড়ে বসতে হয়। আদালতের চৌকাঠে মাথা ঠোকার মকশো করতে হয়। সরকারী ডাক্তারদের মতোই সিবিআইয়ের আধিকারিকদেরকেও মাসের শেষে মাহিনার জন্য দারস্থ হতে হয়। সরকারের কাছেই। ফলে সেখানেও সরকারের মন্ত্রী পারিষদ সহ শাসকদলের কেষ্ট এবং বিষ্টুদের সন্তুষ্ট করে রাখতে হলে। নির্দেশ আসলেই ফাইল পত্তর বগলে নিয়ে রোদ বৃষ্টি মাথায় করে দৌড়াদৌড়ি তো করতেই হবে। যে খেলার যা নিয়ম। কেন্দ্র আর রাজ্য। সরকারে নির্বাচিত শাসকদলের হাডুডু খেলায় জনতা যেমন দর্শক। সিবিআইও তেমনই দর্শক। তবে জনতার মতো আয়েস করে এই খেলার মৌতাত উপভোগের উপায় সিবিআইয়ের নেই। সিবিআইকে দিন এবং রাত এক করে খেটে এবং খুঁটে নানান ধরণের প্রমাণ জোগার করতে হয়। না পারলে জোগার করার নাটক করতে হয়। তারপর একদিকে সমন জারি। আর একদিকে আদালতে দঁড়িয়ে ডেট নেওয়া। হ্যাপা কিন্তু কম নয়। অবশ্য, এইসবের জন্যেই না, মাস গেলে মোটা অংকের বেতন।
ফলে উডবার্ন ওয়ার্ডে সময়ে অসময়ে টিভি ক্যামেরা মাইক্রোফোন সাংবাদিক। পুলিশ ডাক্তার শাসক দলের নেতা মন্ত্রী ও তাদের ডান হাত, বাঁহাত। এবং বুকে ব্যথা ওঠা রুগী। আর ব্রেকিং নিউজ। কিন্তু তবু কি, রিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে জনতা নাটক দেখতে দেখতে ক্লান্ত? আদৌ তেমনটা নয়। তেমনটা হলে ভোটের পাটিগণিতে তার স্বাক্ষর পড়তো বইকি। না, জনতা আদৌ ক্লান্ত নয়। জনতারও পোয়াবারোর সময় এখন। ফলে জনতার হাসিও ক্রমেই চওড়া হয়ে উঠছে। পরিবর্তনের ফল এমন হাতেনাতে পেতে কার না ভালো লাগে? কাটমানি থেকে তোলাবজি। দালালি থেকে ধান্দাবাজি। কর্মসংস্থানের জোয়ার এসে গিয়েছে। কেউ আর বসে নেই। পরিবর্তনের আগে যাঁর একতলায় দিনকাটত। আজ সে তিনতলার ব্যালকোনিতে বসে ঠ্যাং দোলাচ্ছে। শর্ত শুধুই একটি। বখড়া নিয়ে যেন কোন গণ্ডগোল না বাঁধে। ফলে পরিবর্তনের পরে সবচেয়ে বেশি যে স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেটি হলো, ‘শুধু নিজে খেলেই হবে? সবাইকে দিয়ে খেতে হবে তো!’ সেই দিয়ে খাওয়ার সিস্টেমে যে যেখানে যত খুশি। সেই অঞ্চলে তত বেশি শান্তি। কিন্তু যেখানে বখরা নিয়ে যত বেশি গোলমাল। সেখানেই তত বেশি অশান্তি। সাংবাদিকদের পরিভাষায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!
ফলে সারদা কেলেঙ্কারীই হোক। আর গরু পাচার কাণ্ড। এই দিয়ে খাওয়ার বখরার হিসাব আর নিকেশ নিয়েই গণ্ডগোল। সেই গণ্ডগোল যতদিন ধামাচাপা দেওয়া যায়। ততদিন কেলেঙ্কারীর আঁচ পাওয়া যায় না তেমন। যখন সেই আঁচ আর ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না। তখনই রাজনীতির হাডুডু খেলা শুরু হয়ে যায়। শাসকদল ও প্রধান বিরোধী দলের ভিতরে। আর তখনই সিবিআইয়ের এন্ট্রি। সাজোসাজো রব উডবার্ণ ওয়ার্ডে। তিনি আসছেন। তাঁরা আসছেন। সিবিআইয়ের সমনের ঠ্যালা সমালাতে।
সিবিআইও জানে এই খেলার ণত্ব আর ষত্ব। সবকিছুই কেন্দ্র আর রাজ্যের দুই শাসকদলের হাডুডু খেলা। সেই খেলায় সিবিআইকে সময়ে অসময়ে নড়ে চড়ে বসতে হয়। আদালতের চৌকাঠে মাথা ঠোকার মকশো করতে হয়। সরকারী ডাক্তারদের মতোই সিবিআইয়ের আধিকারিকদেরকেও মাসের শেষে মাহিনার জন্য দারস্থ হতে হয়। সরকারের কাছেই। ফলে সেখানেও সরকারের মন্ত্রী পারিষদ সহ শাসকদলের কেষ্ট এবং বিষ্টুদের সন্তুষ্ট করে রাখতে হলে। নির্দেশ আসলেই ফাইল পত্তর বগলে নিয়ে রোদ বৃষ্টি মাথায় করে দৌড়াদৌড়ি তো করতেই হবে। যে খেলার যা নিয়ম। কেন্দ্র আর রাজ্য। সরকারে নির্বাচিত শাসকদলের হাডুডু খেলায় জনতা যেমন দর্শক। সিবিআইও তেমনই দর্শক। তবে জনতার মতো আয়েস করে এই খেলার মৌতাত উপভোগের উপায় সিবিআইয়ের নেই। সিবিআইকে দিন এবং রাত এক করে খেটে এবং খুঁটে নানান ধরণের প্রমাণ জোগার করতে হয়। না পারলে জোগার করার নাটক করতে হয়। তারপর একদিকে সমন জারি। আর একদিকে আদালতে দঁড়িয়ে ডেট নেওয়া। হ্যাপা কিন্তু কম নয়। অবশ্য, এইসবের জন্যেই না, মাস গেলে মোটা অংকের বেতন।
ফলে উডবার্ন ওয়ার্ডে সময়ে অসময়ে টিভি ক্যামেরা মাইক্রোফোন সাংবাদিক। পুলিশ ডাক্তার শাসক দলের নেতা মন্ত্রী ও তাদের ডান হাত, বাঁহাত। এবং বুকে ব্যথা ওঠা রুগী। আর ব্রেকিং নিউজ। কিন্তু তবু কি, রিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে জনতা নাটক দেখতে দেখতে ক্লান্ত? আদৌ তেমনটা নয়। তেমনটা হলে ভোটের পাটিগণিতে তার স্বাক্ষর পড়তো বইকি। না, জনতা আদৌ ক্লান্ত নয়। জনতারও পোয়াবারোর সময় এখন। ফলে জনতার হাসিও ক্রমেই চওড়া হয়ে উঠছে। পরিবর্তনের ফল এমন হাতেনাতে পেতে কার না ভালো লাগে? কাটমানি থেকে তোলাবজি। দালালি থেকে ধান্দাবাজি। কর্মসংস্থানের জোয়ার এসে গিয়েছে। কেউ আর বসে নেই। পরিবর্তনের আগে যাঁর একতলায় দিনকাটত। আজ সে তিনতলার ব্যালকোনিতে বসে ঠ্যাং দোলাচ্ছে। শর্ত শুধুই একটি। বখড়া নিয়ে যেন কোন গণ্ডগোল না বাঁধে। ফলে পরিবর্তনের পরে সবচেয়ে বেশি যে স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেটি হলো, ‘শুধু নিজে খেলেই হবে? সবাইকে দিয়ে খেতে হবে তো!’ সেই দিয়ে খাওয়ার সিস্টেমে যে যেখানে যত খুশি। সেই অঞ্চলে তত বেশি শান্তি। কিন্তু যেখানে বখরা নিয়ে যত বেশি গোলমাল। সেখানেই তত বেশি অশান্তি। সাংবাদিকদের পরিভাষায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!
ফলে সারদা কেলেঙ্কারীই হোক। আর গরু পাচার কাণ্ড। এই দিয়ে খাওয়ার বখরার হিসাব আর নিকেশ নিয়েই গণ্ডগোল। সেই গণ্ডগোল যতদিন ধামাচাপা দেওয়া যায়। ততদিন কেলেঙ্কারীর আঁচ পাওয়া যায় না তেমন। যখন সেই আঁচ আর ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না। তখনই রাজনীতির হাডুডু খেলা শুরু হয়ে যায়। শাসকদল ও প্রধান বিরোধী দলের ভিতরে। আর তখনই সিবিআইয়ের এন্ট্রি। সাজোসাজো রব উডবার্ণ ওয়ার্ডে। তিনি আসছেন। তাঁরা আসছেন। সিবিআইয়ের সমনের ঠ্যালা সমালাতে।
সেই উডবার্ণে এবারের অতিথি আবার শুধুই হেভিওয়েট নেতা নন। ওজনেও সমান ভারী। দেহের ওজনে। কথার ওজনে। এবং কাজের ওজনে। যাঁর দাপটে তার খাস তালুকে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়।
সেই তিনিও সিবিআইয়ের সমন পেয়ে চিন চিন বুকের ব্যথায় মিন মিন করে উডবার্নে গিয়ে আশ্রয় নেন। ফলে তাঁর মতন ওজনদার হেভিওয়েট নেতাকেও সিবিআইয়ের সাথে লুকোচুরি খেলতে হচ্ছে। তবে হ্যাঁ, সিবিআইয়ের সাথে লুকোচুরি খেলার বিষয়ে রাজ্যের শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। সেই খেলার প্রথম রাউণ্ডে আদালত থেকে জামিন না পেলে আবার বুকের ব্যথার সাথে শরীরে যতরকম ব্যথা সম্ভব সব রকম ব্যথাই কিন্তু জাঁকিয়ে উঠতে পারে। অর্থাৎ জাঁকিয়ে ওঠে। এবং সেই সব রকমারী ব্যথার রংদার হেভিওয়েট নেতাদের স্থায়ী ঠিকানা কিন্তু তখন সেই উডবার্ণ ওয়ার্ডই। তাছাড়া উপায় কি? সাধারণ সংশোধনাগারের হাওয়ায় তাদের নিশ্বাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পড়ে যাওয়ারই কথা। ফলে দিনের পর দিন। মাসের পর মাস। সেই উডবার্ণেই বাস। যতদিন না আদালতের হাতে জামিন মঞ্জুর হয়।
এটাই রাজ্যের পরিবর্তনের এক্সপ্রেসওয়ে। রাজনীতির খেলায় বুকে ব্যথার মতোন সংক্রমক তাই আর কিছুই হয়তো না। না, দুর্নীতি আজ আর কোন সংক্রমক ব্যাধি নয়। দুর্নীতিই আজ রাজনীতির আসল পরিচয়। দুর্নীতির সাংবিধানিক রক্ষাকবচের নাম রাজনীতি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এই রক্ষাকবচের উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে। না, শুধুই আমাদের দেশ বলে নয়। বিশ্বে গণতন্ত্রের এটাই আসল অবকাঠামো। তার উপরে এক এক দেশে এক এক রকমের পালিশ শুধু। আমাদের দেশের পালিশ ঠিক আমাদেরই মতন। পালিশেও এমন ভেজাল যে, আসল চেহারাটা সাদা চোখেই বেআব্রু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আর জনগণ ঠিক এই চেহারাটিতেই অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে। তাতেই জনগণের আশা ও আকাঙ্খাও ধরা থাকে। দুর্নীতির চুঁইয়ে পড়া প্রসাদ। যার ভাগ্যে যতটুকুই জুটুক না কেন। গোটা সিস্টেমটা যতদিন চলতে থাকবে। জনতাও ততদিন আশায় আশায় থাকবে। আজ যদি বা নাও হয়। কাল। একদিন না একদিন হরিরলুটের বাতাসার ভাগ হাতে আসবে ঠিকই। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমানস বুকে ব্যথার যাত্রাপালায় মহাখুশি! সেই খুশিতেই এই দেশে গণতন্ত্রের উৎসব।
৯ই এপ্রিল’ ২০২২
কপিরাইট সংরক্ষিত
এটাই রাজ্যের পরিবর্তনের এক্সপ্রেসওয়ে। রাজনীতির খেলায় বুকে ব্যথার মতোন সংক্রমক তাই আর কিছুই হয়তো না। না, দুর্নীতি আজ আর কোন সংক্রমক ব্যাধি নয়। দুর্নীতিই আজ রাজনীতির আসল পরিচয়। দুর্নীতির সাংবিধানিক রক্ষাকবচের নাম রাজনীতি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এই রক্ষাকবচের উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে। না, শুধুই আমাদের দেশ বলে নয়। বিশ্বে গণতন্ত্রের এটাই আসল অবকাঠামো। তার উপরে এক এক দেশে এক এক রকমের পালিশ শুধু। আমাদের দেশের পালিশ ঠিক আমাদেরই মতন। পালিশেও এমন ভেজাল যে, আসল চেহারাটা সাদা চোখেই বেআব্রু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আর জনগণ ঠিক এই চেহারাটিতেই অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে। তাতেই জনগণের আশা ও আকাঙ্খাও ধরা থাকে। দুর্নীতির চুঁইয়ে পড়া প্রসাদ। যার ভাগ্যে যতটুকুই জুটুক না কেন। গোটা সিস্টেমটা যতদিন চলতে থাকবে। জনতাও ততদিন আশায় আশায় থাকবে। আজ যদি বা নাও হয়। কাল। একদিন না একদিন হরিরলুটের বাতাসার ভাগ হাতে আসবে ঠিকই। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমানস বুকে ব্যথার যাত্রাপালায় মহাখুশি! সেই খুশিতেই এই দেশে গণতন্ত্রের উৎসব।
৯ই এপ্রিল’ ২০২২
কপিরাইট সংরক্ষিত
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন