ওরা
এই প্রস্তাবনার কথা লেখা হোক।ঘুম ভাঙুক সেই সব অজানা গুপ্তপর্বের,যারা এখনো ভাতের মোহ থেকে মুছে ফেলতে পারেনি লালা,দূরত্বকে গুটিয়ে নিয়েছে বুড়ো আঙুলের ডগায়,পায়ের গভীরে ঢুকে যাচ্ছে এবড়ো খেবড়ো পাথরের সংক্রমণ, চোখে তবু জেগে আছে বিন্দুর মত টিপ,ছাপা শাড়ির নোন্তা ঘামের আড়ালে
সংগমের ভ্যাপসা স্বাদ, টোকো আমানির মতো পাকস্থলীর করুণায় গেঁজে যাওয়া মদের মাতলামি,নরম আর কচি পাতার মতো রোদমাখা মুখগুলির মায়া।
এসব ভুলিয়ে রাখছে তোমার পেশির অসুখ,খুন করছ খিদের হা হা চিৎকার,ছুটছ তুমি।
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া তোমার শরীর থেকে
আলাদা করছ একে একে তোমার সঞ্চয়।
চলতে চলতে খুলে ফেলছ তোমার মুখ, নাক,পেট,যৌনাঙ্গ।ব্যথায় ককিয়ে উঠছে তোমার অবসাদ তবু চোখ তোমার এখনো সক্রিয়, বাঘের রক্ত দিয়ে কৌমের যে ইতিহাস লিখেছ, সেই ভূমিকার বাতাস মেখে দাঁড়িয়ে আছে এই মাটি, গাছ, পাথর।
দ্যাখো যন্ত্রণায় তাদেরও নীল হয়ে যাচ্ছে শরীর। তাদের অক্ষম ভাঙাচোরা অসহায় মুখ তোমাকে স্পর্ধী করুক, তুমি ঈশ্বর হয়ে ওঠার রাস্তায় তোমার রক্ত লালা আর বীর্যের বীজ পুঁতে রাখো।
একদিন সব শান্ত হলে আমরা মনে রাখব এই নিবিড় যুদ্ধে শত শত শ্রমিকের আত্মোৎসর্গের ইতিহাস।
মন্দিরা ঘোষ
Reviewed by Pd
on
জুলাই ১২, ২০২০
Rating:
Reviewed by Pd
on
জুলাই ১২, ২০২০
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন