বৈশাখের জানলায় শ্রাবণ -
( এক )
ভালোবাসা বললেই আমার সামনে বিরাট বড় একটা আকাশ আর সবচেয়ে লম্বা একটা নদী দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়ায়। দুজনেই আমাকে ডাকে। দুটো ডাক এমনভাবে মিশে যায় কার কোনটা ঠিক চিনে উঠতে পারি না। এমনিতেই তো দুজনকে খুব ছোটবেলা থেকে দেখে এলেও ঠিক ঠিক ভাবে আজও চিনে উঠতে পারি নি। অতটা ছড়িয়ে যাওয়ার কি দরকার ছিল ? আর একটানা অতটা দৌড় না দৌড়ালে হচ্ছিল না ? সূচনাটাই যে বোঝে না সে পা বাড়াবে কোন সাহসে। তাই চারটে অক্ষর লিখে ফেলতে পারলেও হাতে ধরলেই সবাই হেসে ওঠে।
( দুই )
রোজ সকালে চোখ বন্ধ করে আমার এক সংলাপ ----- "মা, রোদ উঠেছে ?" এমনভাবে হয় নাকি ? রোজ কি আলু ভাতে ভাত ভালো লাগে ? আমি বলি, কেন নয় ? রোদ নিজেই তো একটা চির বৈচিত্র্যপূর্ণ তরকারি। যার পাশে রাখবে সে-ই তো নতুন হয়ে উঠবে। কিন্তু কে আর বোঝে! সবাই একটু ছাড় চায়। আমি বলি ঘুরে ঘুরে যখন একটা বসার জায়গা পেলাম তখন আবার ঘোরা কিসের? আসলে আমার চব্বিশ ঘণ্টা বুকের মধ্যে চেপে ধরে রাখাটা অনেকেই সহ্য করতে পারে না।
( তিন )
সারাদিনে এক আধবার জানলা খুলতে তো ইচ্ছে করেই। কিন্তু কখন খুলবো ? কোথায় খুলবো ? চারপাশেই তো জানলা। যার সামনেই খুলি সে আগে দেখে নেয় তার ঘরে আরও কটা জানলা খোলা আছে। সংখ্যাটা এই কারণে খুব দরকার যে তার জানলা খোলাটা রীতিবিরুদ্ধ কিনা। সমর্থন পেলেও নিয়মিত অভ্যাসের দিকে সে কখনও যায় না। তাই সুরক্ষিত বলয়ের জানলা বন্ধ হওয়ার আগে আরও একবার ছোট্ট করে ফাঁক হয় ------- তুমি খুললেই খুলতে পারো কিন্তু আমারটা অনিশ্চিত।
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
Reviewed by Pd
on
মে ১২, ২০২০
Rating:
Reviewed by Pd
on
মে ১২, ২০২০
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন