মনময়ূরী,
পরিচয়গুলো থেকে মাসরস ঝরে গেছে কি? বা ঝুলন্ত ছাদের পাশে সিঁড়িটাও বিলুপ্ত? আয়নার সামনে দাঁড়ালে তীরের ফলা ছুটে আসে এখন। তবে আমিই কি দোষী?
চোখে তীর বিঁধলে সব যেমন অন্ধকার হয়, তেমন কিছু অন্ধকার আজ। তবু মনে হয়, ধ্যানস্থ সম্পর্কের নীচ থেকে সরে গেছে পৃথিবী আর সামনে তুই হাসছিস একটা আলোকবিন্দুর মতো। ক্রমশ...
জানি না কী ভুল ছিল! জানি না আজও কী অপরাধ করেছি! তবু কেন সম্পর্কটা কঙ্কাল? কখনো তো বলিনি 'তোকে ভালোবাসি', কখনো তো বলিনি 'তোকে চাই'। তবু...
'সরে যাওয়া' বুঝি একেই বলে? দেখ, আমিও সরে গেছি কত। কালিহীন পেনের নিপ্ যেমন পাতার উপর শুয়ে নীরবে কবিতা আওড়ায়, তেমন।
গাড়ি-বাড়ি-শাড়ি'তে ভুলে তুইও কি সেই আরও পাঁচটা প্রেমী নারী? যোগাযোগের মাঝ থেকে সেতুটাকে সরিয়ে আজ বেশ সুখী জানি। তবু এই পাড়ের নগর না-হতে-চাওয়া গ্রামটা ভুলতে পারেনি আজও। তাই লিখে ফেলি চিঠি আবারও। যতবার ছিঁড়িস তুই, ঠিক ততবারই 'বন্ধু' লিখে ডাকবক্সে ফেলব নিজেকে...
পারলে, আবারও ছিঁড়িস!
ইতি -
অ-বন্ধু
পলাশ কুমার পাল
Reviewed by Pd
on
জুন ৩০, ২০১৭
Rating:
Reviewed by Pd
on
জুন ৩০, ২০১৭
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন