১।১।
বেঁচে থাকতে থাকতে ক্লান্ত লাগে। অপচয়ের চব্বিশ ঘণ্টা নালিশে পালিশে সহস্র রজনীর কেয়াবাত। বিষয় আসয় হাঁপিয়ে উঠলে বলি, যাও একটু বেরিয়ে এস। ...
যদিও জানি মাঞ্জার ধার কমে গেলে উড়ানও মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে সদরের বদ-নসীবে। যে হাজারটা বেলুন উড়িয়ে দিয়েছিল বাদশাহি মেজাজে সে জানতোই না বেলুনের ভিতরে তার হাওয়া-ই ছিল, আত্মা আত্মনেপদ। বায়ুস্তরের সীমানা ছোঁয়ার স্পর্ধা ফাটিয়ে দিয়েছিল একটা একটা করে সবগুলো বেলুনই। আসলে উড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুরিয়ে যায় পরবর্তী ঘটনার স্পৃহা। আমার ঈশ্বর বলেছিল, নিবৃত্তির পরাকাষ্ঠা তুমি? না তোমার প্রেম ?
আমার সব প্রশ্নগুলো চাপা পড়ে গিয়েছিল অনিষিক্ত গর্ভেই। তার শোনার অপেক্ষা কতটুকু জানি না। শুধু দেখতে পাচ্ছি সেই নদীটা বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে ...
২।
তিনি যখন প্রসাদ হয়ে যান, আমার বরাদ্দে নিমিত্তমাত্র। এই সঙ্কুলানের পরিণাম তাকে বলিনি কখনও। বলিনি চাপাকলে'র জল আরও নীচে নেমে গিয়েছে। বৃষ্টির জল ধরে রাখার পিতলের ঘটিতে পরখের আয়নাটাও ভেঙ্গে গেছে --- জলের আয়না। খিদে হাঁটতে হাঁটতে পায়নি একটুও ছায়া। শতরঞ্জে বুঁদ হয়ে থাকা দুই পক্ষই রাজা প্রজা'র খাতির করে। ঢুলতে ঢুলতে ঠোক্কর খাই লাইটপোস্টে। শিউরে উঠে দেখি ঈশ্বর ফিরে যাচ্ছেন !!!
তোয়াজ আর রেওয়াজের মাঝখানে তারানার চন্দ্রকোষে শুদ্ধ-কোমলের দক্ষ আঙুলগুলো সুরবাহারে কত স্বচ্ছল ! একমুঠো মেটে সিঁদুর সিঁথিতে ছড়িয়ে দিয়ে অন্তর্ধান রহস্যকে জাগিয়ে রেখছে অপারের জিজ্ঞাসায়। আচমনের কমণ্ডলুটা ভুল করে ফেলে রেখে গেছে ,যার অতলে ভিজে যাচ্ছে আমার হৃদপিণ্ড !
বিদিশা সরকার
Reviewed by Pd
on
জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
Rating:
Reviewed by Pd
on
জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন