দেওয়া নেওয়া
এত প্রলুব্ধ এসে জুটে যে কি করব আর কি না করব? সবাই বলে নাও নাও আমি যে নিতে পারি না। আবার উল্টো করে দেখি সবাই বলে দাও দাও আমি যে দিতে পারি না। এই না নিতে পারা আর না দিতে পারার মাঝখানে ঝুলে থাকা আমি কে? ভাবতে ভাবতে এক সাগর জলে অথৈ।
ঝাঁপিয়ে পড়া অবকাশ খ্যাঁক করে ওঠে – মাগো, তোমার মত ভাবতে পারলে সংসারে কিছুই সচল হত না। আমি বললাম – তাহলে কি অচল হয়ে যেত। দাঁত বের করা সেই বিদ্ঘুটে হাসি বেরিয়ে এল – আবার অন্য। চুপ করে বস। আমি বলছি চুপ।
ওমা! এই তো তুমি বললে সচল রাখতে। যদি না বুঝে নিই কিভাবে এগোন রাস্তায় যোগ বিয়োগের খাতা খুলব। নাহলে বন্ধ করে রাখতে হবে। তোমার মতে সে যে অচল।ওই যে ঠায় ভিক্টোরিয়া তাজমহল শহিদ মিনার ইণ্ডিয়া গেট ঠায় দাঁড়িয়ে অচল। এগুলো কি সত্যিই অচল।
ক্ষেপে যাওয়া আবার আর্তনাদ – বল, কি কথার কি উত্তর! জীবনের বিভাজন কখনই স্থবির করো না। স্বতন্ত্র হিসেবে যা যোগ হওয়ার ঠিক হবে যা বিয়োগ হবে শত চেষ্টায় তার মুখ বদলাতে পারবে না।
কেন পারব না? কিছু করতে পারার চিত্রই তো আগামীর হিসেব। তাহলে আমি কিছু দিতেও পারি, কিছু নিতেও পারি। কিন্তু এই দেওয়া নেওয়াতে আমি বা আমার অবস্থানে চিত্র বদলে যায়। তখন চক্রক্রমে ঘটনায় বলে ফেলি নিজেই আমি যে নিতে পারি না বোধ হয় দিতেও পারি না। কিছু না নিতে পারলে আমি অবস্থান কিংবা আমি দিতে না পারলে আমি অবস্থান কোথাও না কোথাও মিলিয়ে যায়। তাতে কিছু ভাল আমি না হোক তুমিও হবে না।
দীপঙ্কর বেরা
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৬, ২০১৬
Rating:
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৬, ২০১৬
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন