প্রেম
১।
শ্রাবণ'কে ভালোবাসার যাতনা!
সে তো আকাশ জুড়ে,
যখন-তখন বুকের উপর-
কয়েক পশলা বৃষ্টি হানে।
শ্রাবণ'কে ভালোবাসার বেদনা!
সে তো মেঘের সুরে,
ঘোর বর্ষায় মেঘের পরে-
কৃষ্ণকালো কলঙ্ক আনে।।
২।
ধানের শিষের উপর ওই যে চিকচিক করে কুয়াশা,
তোমার চোখের পাতায় যেমন আমার প্রেম।
ভোরের সূর্যের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা স্বর্নালী আলো,
তোমার ঠোঁটের থেকে সরে যাওয়া লিপস্টক রেখা।
৩।
একদিন একটা গান লিখবো,
ভোরের পাখীর কন্ঠের জন্য।
একদিন একটা রাত সাজবো,
চাঁদের কলঙ্ক স্পর্শের জন্য ।
আর একদিন-
মৃত্যুতে তর্জনী ছোঁয়াবো আমি,
তোমাকে না পাওয়ার জন্য ।
৪।
ঘরের উষ্ণতা বাড়ছে,
চৌকাঠ পেরোতে পারলেই আকাশ?
বহুদিন তারা গোনা হয়নি খোলা মাঠে গিয়ে,
গুটি কয়েক তারারা আসে জানলা দিয়ে,
দেখা করে যায়-
ভালো লাগে।
৫।
একলা বসে আছি পদ্ম পাতার মতোন তৃষ্ণার্ত বক্ষে-
অঝোরে আকাশ ঝড়ছে,তবু প্রেমহীন এক আঁধারে আমি!
বড়োই রুক্ষ এ আঁধার! এতো প্রেম! তবু প্রেমহীন পদ্মপাতার হৃদয়,একফোঁটা প্রেম ধরে রাখেনি শরীর!
৬।
দ্বন্দ্বটা কেবলই বাড়ছে,সাথে বাড়ছে লড়াই...প্রতিপক্ষ আমি নিজেই,
নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই লড়ছি আমি...
গন্তব্য একটাই-আমি'টা কে ভালোবাসা ।
বহুরূপী ভালোবাসা,ভালোবেসে বহুরূপী,
সাজঘরে সাজ,আয়না একটাই,
বদলে যাই আমি!
৭।
পরিচিত কি দিন গুনে হয়!
বহু পরিচিত ছিলি তুই,হঠাৎ কয়েক ঘন্টার ফারাকে কেমন করে অচেনা হলি?
কিভাবে,বলতে পারিস?
উত্তর আছে?
সেই মানুষটা আমাকে পরিচিত করে নিলো প্রথম রাতেই...আর তারপর থেকে বড়ো পরিচিত আমরা,
হৃৎস্পদন থেকে ভাতের থালা অথবা লোকালয় থেকে নিরালায় পরিচিত আমরা।
কিভাবে,বলতে পারিস?
উত্তর আছে?
৮।
আশ্বিন আকাশ,তাও হিম পড়ছে অল্প...যেন কিশোরীর ভেজা চুল ছুঁয়ে যায়.....কিশোরের প্রেম!
আলিঙ্গন নয়...এ যে বাহুডোরে বাঁধা...অস্বীকার করে সাধ্য কার!
৯।
একটা বকবকম পায়রা,আমার বাড়ির ছাদে এসে বসছে দু-চার দিন...সারাদিন একটা শব্দ কান ঝালাপালা করে বটে...কিন্তু নীল আকাশে যখন সে উড়তে যায়....মনের উঠোন টা খালি হয়ে যায়...অপেক্ষায় থাকি শব্দটার ফিরে আসার!!
১০।
ভালোবাসা হাতরে শুধুই শরীর পাওয়া গেলে,ভালোবাসার শ্বাসরোধ হয়।
ভালোবাসা হাতরে শুধুই দাম পাওয়া গেলে,ভালোবাসার পথ ভুল হয়।
ভালোবাসা হাতরে শুধুই তোমায় পাওয়া গেলে,ভালোবাসা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন