কোজাগরী
তার জাগতিক সম্পত্তি যা কিছু ,ঋণের দায়ে
জমিদার ঘরে, হয়ত বা ছিল কিছু ভক্তির
অভাব,তাই স্ত্রী নামের মানুষটিও ভগবান
ফেরত নিয়েছেন, আর অপার করুনার
প্রমান স্বরূপ, ওই একাদশ বর্ষীয় পুত্রই এখন
হরিদাসের শেষ সম্বল।
আশ্বিনের শারদোৎসবে জমিদারবাড়ি খুব জাঁক
যাত্রা পালা , কাঙালি ভোজন, তো বটেই
এবার বিলের জমির কেস জিতে ধু.........ম।
গিন্নীমার মানসিক... পুজোর পাঁচদিন, চণ্ডীর
চরণে দেবেন- সদ্য ফোটা শতদল বিলের জমির।
পুত্রের সৌভাগ্যযোগ দেখেন হঠাৎ, জমিদার ডেকে
কন 'শোন হরিদাস, পুত্রেরে পাঠিও দিয়ে তালের
ডোঙাটি ,বিলের পদ্ম চাই ছয়-কুড়ি রোজ, মানসিক
ছিল, আর জানই তো সব '। ঋণের সলিলে আকর্ণ ডুবে,
সাধ্য কার 'না' বলার ক্রীতদাস হয়ে, অগত্যা পাঠায়
পুত্র বিচলিত মন, নির্বিঘ্নে চারদিন পুষ্পচয়ন।
পঞ্চম দিনে নৌকা আটকায়, কে জানে কিভাবে
পদ্মের মৃণালে, ঝুঁকে তাই ছাড়াবার করতে প্রয়াস
ডোঙা উল্টায় এমনি হঠাৎ, জল তবু বেশী নয়
ডুবতে সেখানে, পদ্মের মৃণালে তার বাঁধে শরীর
অতঃপর শ্বাসরুদ্ধ জলের অতলে। ধন্য ধন্য করে লোকে
শিশুটির নামে, কোন ভাগ্যে পেল জগন্মাতার চরণ।
হরিদাস ভাবে পুত্র ঘুমায় শান্তিতে, মার ব্যাটা কোল
বুঝি পেল এতদিনে, তবু কেন নিশুত হলে চাটাইয়ের
পরে, পিঠখানা জ্বলে যায় যেমন জ্বলে বুক, কোমল
এক স্পর্শ খুঁজে ফেরে মন, কোজাগরী চাঁদ জাগে
বুক ফেটে তার ' কে জাগো রে? কে জাগো রে?'
ছোটে হাহাকার। বিপুল ধনের আশে জমিদার ঘরে
রাত জেগে গিন্নী শোনেন ' কে জাগো রে? '
দোলনচাঁপা ধর
Reviewed by Pd
on
অক্টোবর ০৬, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
অক্টোবর ০৬, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন