জিঘাংসার ক্ষুরধার ছোরা
যেনো দায় নেই কারো, গোঁ ধরা আগুনে খুবলে খাচ্ছে
বাগান সমান লোকালয়, কলজে ঠান্ডা কলতান ;
জিঘাংসার ক্ষুরধার ছোরা লিখে পাঠাচ্ছে অবৈধ মৃত্যু-বাক্য।
একটা পাখির প্রাণের চেয়েও তাচ্ছিল্যের অংকে নিরাপত্তা,
সেরা প্রাণ এক ফোঁটা কচুপাতার আশ্রয়ী
একটু নাড়াতেই ছলকে গড়িয়ে মাটির চিঁচি ঠোঁটে।
এখানে শেয়াল ও শকুন তাজা, জলাধারে শব খেকো মাছ,
বায়ু জুড়ে এর গন্ধে বমির আধিক্য, অথচ বিবেক নির্লজ্জ বৈকল্যে ।
বৃক্ষখেকো যখন প্যাচিয়ে পরিস্থিতি, রক্ত মাংসের মানুষ
নগ্ন নয়নে তখন ঠোঁটে তুলে ধরে চিকুরের চিক্কণতা – এরা কারা,
লাশের খবরে কারা দোল খেলে পরম্পরা?
এ দিকে, নির্বাক স্বজনের ঢুকরে ওঠা ভাষাগুলো উর্ধ্বমুখী,
আজানু অশ্রুতে ভেজা, কপোল ঠুকিয়ে রক্তপাত।
কারো বিয়োগ ব্যথার তীব্র ধ্বনি বেছে নেয় গাড়ি পথে পড়ে ছিনভিন্ন
হয়ে যাওয়া বিশ্রীরূপ । এগুলো দেখেও কেউ কেউ
অধর বাঁকিয়ে কথার পাটশোলা ভাঙে –
হায় রে মানুষ!
দমে হেঁচকি ওঠা এ সব দৃশ্যের ইতি রেখা দেখবো কবে?
কেনো নয় এই এখনই,শতো শব্দ-নৈঃশব্দের আর্তি-আকুতির
সাক্ষী : আলোকস্তম্ভ হেলে পড়ার আগেই?
তোফায়েল তফাজ্জল
Reviewed by Pd
on
মে ০৯, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
মে ০৯, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন