অরুণিমা চৌধুরী

arunima


ডিক্লেয়ারেশন



বাসুবাবু!!
অনেক গুলো বছর ধরে একটা স্বপ্নকে বেঁচে থাকার লড়াই করতে দেখেছ?
দুমুঠো ভাতের জন্য বিড়ালছানা ঠাঁইনাড়া খায়।শুনেছ?
একটু বাঁচতে চেয়ে যে মেয়েটা রোজ মার খায় আর স্বপ্নের বীজ বোনে।তাকে চিনেছ!
কালশিটে কপাল চুলে ঢেকে যে কবিতা লেখে,তার কলমে বিষাদ কালি।
বিশ্বাস বদলে যায় ছলনায়।
নির্ভরতার মানে  গলার বোঝা।
প্রেম মানে মুখপুড়ে যাওয়া আগুনে কলঙ্ক।
বিবর্ণ স্বপ্নের বুকে সেও যান্ত্রিক আঁচড় কাটে।
কবিতা নয়..যন্ত্রণা লেখে।
তার কাছে,আর যাই হোক,প্রেমের কবিতা আশা কোরোনা।


মুখবই





দোমড়ান মুখোশের পেছনে কিছু এডিটেড  মুখ।
নিছকই অ্যাক্সেপ্টেড তালিকাভুক্তি ,
তার নাম পরিচিতি।
ধূ ধূ নীল বালুচরে ক্লান্ত নির্জনতায়
খাপখোলা দো'ধারি তলোয়ারবাজি।
নীল স্ক্রিনে যতক্ষণ আলো,
ব্যাটারিতে ঠিক যত টুকু চার্জ,
ঠিক ততটুকুই হিসাবমাফিক আদানপ্রদান।
'বন্ধু' মানে লগ ইন, লগ অফের মাঝখানে
ছোট্ট হাইফেন। তারপর ,
"সব দিখাওয়া।  সব ঝুট।"


অশ্রুমতী




বৈদেহী সাঁকো কিছু অলীক স্বপ্ন এঁকেছিল।
আজ আগুন কাঠিরা ঘৃণা উগড়ায়।
বাতাসে ছেঁড়াখোঁড়া কথা ওড়ে।ওড়ে পালক পালক  কলঙ্ক।
কোন সেতু অবশিষ্ট নেই।
হাত ধুয়ে ফেলা শুচিতারাও যথেষ্ট সাবধানী।
তবু বন্ধ দরজার আড়ালে
ঈষৎ  ফোঁপানির শব্দ ভেসে আসে।



কথাগাছ




কথাগাছ!এসো বাঁচি।
জলজ বাতাসে নোনাধরা সুখ।আলাপে প্রলাপ, গভীর অসুখ।
এক দ্রাঘিমার জটিল জীবন। ধোয়াঁওঠা ঘৃণা, ফেনিল মরণ।
খুব জটিলতা।তবু হাতেহাত।তবু বিশ্বাসহীন বাঁচি।
কথাগাছ!
এসো আরো একবার সরল রেখায় বাঁচি।

কথাগাছ!এসো আঁকি।
শিকড়ে পচন, ঘুণধরা ছাল।সবুজপাতার আজ হরতাল।
নিষ্ফল কিছু ন্যাড়া ডালপালা, ঝুরঝুরে মাটি আঁকড়িয়ে চলা
তবু একবার ফুলের কুঁড়িতে আলোর স্বপ্ন মাখি
কথাগাছ!
এসো, আরো একবার নতুন স্বপ্ন আঁকি।

কথাগাছ!এসো ভিজি।
বন্ধ্যা বিছানা,ড্যাম্পধরা মুখ,আজ পাশাপাশি আগুন জ্বলুক।
আরো একবার তুমুল বৃষ্টি, ডালপালা মেলে নতুন সৃষ্টি
এক প্রেমে নয়,নাইবা হল,একফ্রেমে খুব তুমুল ভিজুক।
তবু একবার সুখের পাতায় একসাথে হিজিবিজি
কথাগাছ!
এসো, আরো একবার অঝোরধারায় ভিজি।




অরুণিমা চৌধুরী অরুণিমা চৌধুরী Reviewed by Pd on অক্টোবর ০৬, ২০১৫ Rating: 5

২টি মন্তব্য:

সুচিন্তিত মতামত দিন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.