জীবন মৃত্যু ...
সাড়ে নয় রাত।
আনোয়ার শা’র ওপর চলন্ত দানব
খসিয়ে দিতেই
মৃত্যু ঝিঁঝিঁ মাথার খুলিতে আঁচড় কাটে।
সাদা লাইনের ভেতরেই জ্ঞানহীন
ইচ্ছের স্বপ্ন শূন্যতা নিয়ে অর্ধচেতন লাশ
পড়ে থাকে জীবনের অক্সিজেন
পুনরুদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টায়,
বাসের শেষ চাকায় হ্যান্ডশেক
অপূর্ণই রয়ে গেল আজও।
গুনগুন-কোলাহল-গেল গেল-
চোখের পাতার নিচে সরে যায়
কাঁপা কাঁপা ছবির কোলাজ;
ধ্বনি ফিরে আসে বিবর্ধিত লয়ে
নির্বাসিত চোখের পলকে ভয়-আতঙ্ক।
সন্ধে গড়িয়ে রাতের পার্লারফেরত মুখে
জ্বলজ্বল করে সারিসারি লোভাতুর দোকান
পেটের ভেতর নড়াচড়া করে
কবরস্থ দোকানীর বুদ্বুদ জীবন।
হাইভোল্টেজ শকথেরাপিতে
পৃথিবী বোবা হয়ে গেছে,
ত্বকের ওপরে শিরায় শিরায় আতঙ্কমোহর,
গম্ভীর পর্যবেক্ষণে রাততারারাও
কোথায় যেন টুং টাং ঠুং ঠুং
বেজেই চলেছে বিসর্জনের ঘন্টা,
চাকাদের ঘর্ঘরে ঢাক ঢোল কাঁসর
বেজে ফিরিয়ে আনে
ভয়ংকর বলিদানের তীক্ষ্ণপ্রহর;
গতিশূন্য পতনে নিউটনকে হারিয়ে
শুধু কিছু শব্দের শবযাত্রায়
রিক্সার হর্নের সাথে ভেসে যায়
নুড়িপাথরের দীর্ঘশ্বাস।
রিয়া চক্রবর্তী
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৫, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৫, ২০১৫
Rating:

বাস্তব। ভালো লাগলো রিয়াদেবী।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ আপনাকে সৌমিত্র বাবু।
মুছুন''কোথায় যেন টুং টাং ঠুং ঠুং
উত্তরমুছুনবেজেই চলেছে বিসর্জনের ঘন্টা,''-- অনেক কষ্ট পেরিয়ে, মাড়িয়ে এই উচ্চারণে আসা যায়
অনেক ধন্যবাদ দাদাভাই
মুছুন